বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম উওর কোরিয়ার স্বৈরচারী শাসক কিম জং উন। উদ্ভদ উদ্ভট সব নিয়ম চলে উওর কোরিয়া। ছোট কিছু ভুলের জন্য সে দেশে মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয় হরহামেশাই। গত ২০১৩ সালে পর্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকার শাস্তি হিসাবে গুলি করে মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো কিম জং উনের প্রাক্তন বান্ধবী হুন সং উলকে। পরিবারের লোকের সামনেই গায়িকা হুনকে গুলি করে মারা হল।
কিম জং উন মনে করেন ‘পর্ণ মুভি দেখা’ সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। সে জন্য উত্তর কোরিয়া সরকার দেশজুড়ে পর্ণ মুভির বিরুদ্ধে জোরালো প্রচারণা শুরু করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি। কিন্তু এরই মধ্যে দেশটির একটি ছাত্র পর্ণ মুভি দেখে ধরা পড়ায় কিম জং উন ভয়াবহ শাস্তি দিয়েছেন ছেলেটির সাথে সাথে তার পরিবারও স্কুলের শিক্ষককেও ।
সিনিউজুর স্কুলে পড়া এক ছেলে বাড়িতে কেও না থাকায় পর্ণ মুভি দেখছিলো। কিন্তু দেশটির পুলিশ তার ‘আইপি এড্রেস’ বের করে হানা দেয় তার বাসায়। পর্ণ দেখার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে ছেলেটিকে পুলিশ।
আর এই অপরাধে শাস্তি হিসাবে ওই ছেলে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সমাজ থেকে বের করে দেয়া হয় এবং দেশটির সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে ছেলেটির নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করতে হবে যে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়নি। কিন্তু শাস্তি শুধু এখানেই শষে করেন নি কিম সরকার। ছেলেটি যে স্কুলে পড়ে সে স্কুলের অধ্যক্ষকেও রেহাই দেয়নি কিম সরকার।
উত্তর কোরিয়ার আইন অনুসারে, স্কুলের বাচ্চাদের যে কোনও অন্যায়ের জন্য স্কুলের অধ্যক্ষকে দায়ী করা হয়। এক্ষেত্রে বলা হয় যে ওই অধ্যক্ষ যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন এবং তাকে শাস্তি হিসাবে ‘লেবার ক্যাম্প’ এ পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, পর্ণ মুভির ভয়াল থাবা থেকে তরুণদের রক্ষায় উত্তর কোরিয়া সরকার দেশজুড়ে পর্ণ মুভির বিরুদ্ধে জোরালো প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি স্কুলগুলোতে পর্ণ মুভির বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে।